এক সড়কের ওপর ২২ বৈদ্যুতিক খুঁটি

পিচঢালা কালো নতুন সড়ক। দুই পাশে সবুজ ফসলের মাঠ। গ্রামের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলেছে সড়কটি। কিন্তু বিপত্তি অন্যখানে। সড়কটির ওপরে দাঁড়িয়ে আছে অন্তত ২২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। যেগুলো চলাচলকারীদের জন্য সড়কে কাঁটা হয়ে আছে। খুঁটি না সরিয়ে সড়কের কাজ শেষ করায় চলাচলকারীদের জন্য চরম ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার শঙ্কার নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানচালকদের।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নবনির্মিত পায়রাডাঙ্গা-সিংগা-পারফলসি সড়কের সিংগা গ্রামের অংশে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পায়রাডাঙ্গা-সিংগা-পারফলসি সড়কটির কালো পিচ কার্পেটিং সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ৬ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে নেই কোনো সতর্কীকরণ সিগন্যাল পোস্ট। উল্টো সিংগা গ্রামে সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে ২২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। রাস্তার দুই-তিন ফুট ভিতরে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই শেষ করা হয়েছে পিচ কার্পেটিংয়ের কাজ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মোটরসাইকেল আরোহী তৌহিদুর রহমান রনি বলেন, সড়কটি নতুন হয়েছে। এতে গ্রামের মানুষের চলাচলের কষ্ট লাঘব হয়েছে। কিন্তু সড়কে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কের ওপরে অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। এসব খুঁটি না সরিয়ে কীভাবে রাস্তার পিচ ঢালাই হয়েছে বুঝি না। এগুলো দেখার কি কেউ নেই?
স্থানীয় সিংগা গ্রামের বাসিন্দা ঠাণ্ডু মণ্ডল বলেন, ঠিকাদারদের এ নিয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। উপজেলা প্রকৌশল অফিসেও গ্রামের মানুষ অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদাররা নয়ছয় বলে শুধু ঘুরিয়েছেন। এখন তারা জোর করে এভাবে কাজ করে চলে গেছে। রাস্তায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়াদ আলীর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মামুন উর রশীদ বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বলে জানি। খুঁটি অপসারণের টাকা জমা দিলে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বাকি কাজ করবে।
ঝিনাইদহ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. ওমর আলী জাগো নিউজকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের আবেদন এসেছে কি না জানা নেই। আবেদন পেলে কাজ না হওয়ার কোনো কারণ নেই। ২৭ মার্চ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।
শাহজাহান নবীন/এমএন/এমএস