ঝুপড়ি ঘরে শাহাবানুর সেহরি-ইফতার হয় শাক-ভাত খেয়ে

চিকিৎসার অভাবে একচোখ অন্ধ, আরেক চোখে দেখেন সামান্য। থাকেন পলিথিন আর জোড়াতালির ঝুপড়িতে। থাকার জায়গাটুকু নিজের হলেও ঘরে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। ৭০ বছরের বৃদ্ধা শাহাবানুর স্বামীও অসুস্থ, থাকেন এক নাতির সঙ্গে। দিনে একবার রান্না করে তা দিয়েই চলে শাহাবানুর সেহরি আর ইফতার।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খাপড়াভাঙ্গার বাসিন্দা শাহাবানুর (৭০) স্বামী মো. মোখলেচ মৃধা। এই দম্পতির সামান্য ভিটে থাকলেও নেই ঘর। চিকিৎসা করার মতো কোনো অর্থও তাদের নেই। তিন ছেলে পেশায় জেলে। জীবিকার তাগিদে দুইজন বাড়িতে থাকেন না। একজন বাড়িতে থাকলেও অসুস্থ হওয়ায় নিজের সংসার চালানোই কষ্টকর।
সম্প্রতি ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একমুঠো চাল রান্না করেছেন, সঙ্গে দুইদিন আগে রান্না করা শাক গরম করে রেখেছেন সেহরি আর ইফতারের জন্য। পরিবারের অন্য সদস্যদের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবারই দিন কাটে অভাব-অনটনে।
তার খোঁজ খবর নিতে এসে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক কেএম বাচ্চু বলেন, আমরা একটি মাধ্যমে তার এই সমস্যার কথা শুনতে পাই। পরে তৎক্ষণাৎ বেশ কয়েকজন বিত্তবানের সহযোগিতায় আপাতত তাকে এক সপ্তাহের বাজারের ব্যবস্থা করে দিই। এখন সবার আগে দরকার তার চোখের চিকিৎসা করানো ও পরে ঘর তৈরি করে দেওয়া। সামনে যে বর্ষা আসছে, এতে ওই ঘরে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
শাহাবানুর প্রতিবেশী মো. আফতাব কাজী বলেন, তাদের পরিবারটি আসলেই অনেক সমস্যায় আছে। প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের বাড়িতে অনেক সময় কাজ করতো, আমরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করতাম। এখন শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারে না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এই বৃদ্ধার খোঁজ খবর নিচ্ছি, ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতার চেষ্টা করছি। আবেদন করলে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। এই বৃদ্ধার সহযোগিতায় সবার এগিয়ে আসা উচিত।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/জেআইএম