বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৪৬ জেলে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার চরফ্যাশনে ঢালচরের দক্ষিণে ডুবে যাওয়া ১১টি মাছ ধরার ট্রলারের নিখোঁজ ১৫৬ জন জেলের মধ্যে ১১০ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪৬ জন জেলে। রোববার রাত আটটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
ঢালচরের মৎস্য ব্যবসায়ী শাহে আলম ফরাজী জানায়, ঢালচরের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে কাদের, ছালাম, বাশার, জাহের, কুট্টি, জনু ও শিবচরের সাগর মোহনায় ছিদ্দিক, আলী, সিরাজ, শাহজান ও ঢালচরের আ. লীগ নেতা আ. ছালাম হাওলাদারের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ১১টি ট্রলারের ১৫৬ জেলের মধ্যে এ পর্যন্ত ১১০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৪৬ জেলে।
ঢালচরের জেলেরা জানায়, ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে কাদের মাঝির ট্রলারে ১৬ জন, আ. ছালাম মাঝির ট্রলারে ১৬ জন, বাশার মাঝির ট্রলারে ১৬ জন, জাহের মাঝির ট্রলারে ১৩ জন, কুট্টি মাঝির ট্রলারে ১৩ জন, জনু মাঝির ট্রলারে ১৩ জন, ছিদ্দিক মাঝির ট্রলারে ১৫ জন, আলী মাঝির ট্রলারে ১০ জন, সিরাজ মাঝির ট্রলারে ১৩ জন, শাহজান মাঝির ট্রলারে ১৩ জন এবং আ. ছালাম হাওলাদারের ট্রলারে ১৮ জন জেলে ছিল।
সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১টি ট্রলারের ৪৬ জন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে গুরুতর আহত তিন জেলেকে সোমবার সকালে ঢালচর বাজারে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গুরুতর আহত ওই জেলেরা হচ্ছেন- মাহে আলম (২৬), রিয়াদ (১৪) ও আ. আলী মাঝি (৪৫)।
এদিকে ঢালচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই জাফর শেখ জানান, বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির খবর পাওয়ার পর আমরা উদ্ধারে নামি। বর্তমানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর এখনো উত্তাল হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতায় ব্যাঘাত ঘটছে।