ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫৭ লোহার সেতু

অনিয়ম-গাফিলতিতে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি, দুর্ভোগে লাখো মানুষ

নুরুল আহাদ অনিক নুরুল আহাদ অনিক , জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৫
ব্রিজ ভাঙা থাকায় সাঁকোতে চলছে মানুষ-ছবি জাগো নিউজ

সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বরগুনা জেলার সবকটি লোহার সেতু। গত এক বছরে ১৪টি সেতু ধসে প্রাণ হারিয়েছন ৯ জন। বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এসব সেতু পার হচ্ছে স্থানীয়রা। একের পর এক সেতু ধসে ঘটছে দুর্ঘটনা তবুও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। সচেতন মহল বলছে, সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে। যদিও এলজিইডি বলছে, ৩৫৭টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু শনাক্ত করে তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৫৭টি লোহার সেতুর সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আমতলী উপজেলায় ৯৮টি, তালতলী উপজেলায় ৩১টি, বরগুনা সদর উপজেলায় ৮১টি, বামনা উপজেলায় ৪৪টি, বেতাগী উপজেলায় ৬৪টি ও পাথরঘাটা উপজেলায় ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু রয়েছে। এগুলো নতুন করে নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০০ কোটি টাকা। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণের জন্যে ১৪২টি সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সেতু ভেঙে গেলে সেটার আর খোঁজই নেন না কর্তৃপক্ষ। এতে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। গত এক বছরে জেলায় ১৪টি সেতু ধসে মারা গেছেন ৯ জন। তারপরও সেতু সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের জন্য টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নিষেধাজ্ঞার নোটিশ টাঙ্গিয়ে দায়সারা দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে ২১টি লোহার সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করে। প্রত্যেক সেতু ২ কোটি টাকা করে বরাদ্দ হয়। ওই সেতুগুলোর কাজ পায় তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধা।

জরাজীর্ণ সেতু-ছবি জাগো নিউজজরাজীর্ণ সেতু-ছবি জাগো নিউজ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ রয়েছে, সেতু নির্মাণকালে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা প্রভাব খাটিয়ে দায়সারা কাজ করেছেন। লোহার রেল পাতির বিম ও অ্যাঙ্গেল দেওয়ায় কথা থাকলেও লোহার বিম ও অ্যাঙ্গেল দিয়ে সেতু নির্মাণ করেছেন। ফলে সেতু নির্মাণের ১৩ বছরের মাথায় সেতুগুলো ভেঙে যাওয়া শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জুন বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ে হলদিয়া হাট সেতু ভেঙে ৯ জন নিহত হয়। এতে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ সেতু ভেঙে যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় মল্লিকবাড়ীর টেপুড়া খালের সেতু ভেঙে পরে। এরপর এক এক করে বাঁশবুনিয়া, সোনাউডা, হলদিয়া বড় মোল্লা বাড়ি, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া নজরুল সিকদার বাড়ি, কাঁঠালিয়া বাজে সিন্ধুক, কাঁঠালিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন, চন্দ্রা আউয়াল নগর ও সর্বশেষ (২৮ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার রাতে চর রাওঘা সেতু ভেঙে পড়েছে। গত এক বছরে শুধু আমতলী উপজেলায় এক ঠিকাদারের ১০টি সেতু ভাঙে। এছাড়া তালতলীতে দুটি বরগুনা সদর উপজেলায় দুই সেতু ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এভাবে একের পর এক সেতু ভেঙে পড়লেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা ভেঙে পড়া সেতুগুলো খাল থেকে অপসারণের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

আমতলীতে সেতু ধসে নিহতের ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এই উপজেলার ৯৯টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ২৯টি সেতু খুব জরুরিভাবেই নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় সরকার বিভাগ এলজিইডিসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি আশা করছি তাদের তরফ থেকে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আমতলীতে ভেঙে পড়া ১০ সেতুর ঠিকাদার তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিন আমতলী ও বরগুনার বিভিন্ন সেতু ঘুরে দেখা যায়, ফুট ওভারব্রিজ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি ২০০৮ সালে বরগুনার আমতলী উপজেলায় আউয়াল নগর সেতুটি নির্মাণ করে। এরপর গত ১৭ বছরে একবারের জন্যও সংস্কার করা হয়নি সেতুটি। যে কারণে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দুর্ভোগে পড়েছে দুই তীরের কয়েক হাজার বাসিন্দা। মানুষ খালের মধ্যে বিকল্প বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হচ্ছেন। একইভাবে বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী গ্রামের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে ২০০২ সালে নায়েব বাড়ি সেতু নির্মাণ করে। এই দুই ওয়ার্ডের একমাত্র সংযোগ সেতুটি বিগত ৭ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে। ভাঙা অংশে কোনো রকম সুপারি গাছের গুড়ি দিয়ে সাঁকো বানিয়ে পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বিগত ২২ বছরে কোনো রকমের সংস্কার বা বিকল্প পথের ব্যবস্থা করেনি কোনো কর্তৃপক্ষ। শুধু এই সেতুটিই নয়, বরগুনায় তিন শতাধিক লোহার সেতুর এমন অবস্থা। মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে লোহার অ্যাঙ্গেল। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে লোহার খুঁটিও। যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় সেতু দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

দিনের আলোতেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল-ছবি জাগো নিউজদিনের আলোতেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল-ছবি জাগো নিউজ

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণেই এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতু ভেঙে গেলে সেটার আর খোঁজই নেন না কর্তৃপক্ষ। এতে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। গত এক বছরে জেলায় ১৪টি সেতু ধসে মারা গেছেন ৯ জন। তারপরও সেতু সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণের জন্য টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নিষেধাজ্ঞার নোটিশ টাঙ্গিয়ে দায়সারা দায়িত্ব শেষ করে কর্তৃপক্ষ।

বরগুনা পৌরসভার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে আমাদের এই সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বাঁশের সাঁকো দিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। আমাদের সেতুটি ভাঙার মূল কারণ হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। শহর থেকে এখানে আসলে মানুষ অবাক হয়, শহরের এত কাছে হওয়ার পরও সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সরকার যদি এ বিষয়ে নজর দিত তবে আমাদের জন্য ভালো হতো।

আইয়াল নগর সেতু ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তি নিয়ে আলমগীর মৃধা নামের স্থানীয় বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে-আসতে কষ্ট হয়। এছাড়া আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সব ওপারে তালুকদার বাজারে। তাই কোনোরকম বাঁশের সাঁকো পার হয়ে আমাদেরকে এখন চলাফেরা করতে হচ্ছে। এই সেতুটি না হলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন জানাই অতি দ্রুতই যেন আমাদের নতুন একটি সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আমতলী হলুদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এতগুলো সরকারের উচিত খুব দ্রুত সময়ে সংস্কার করা অথবা অপসারণ করা। গত বছরের ২২ জুন আমার ওয়ার্ডে সেতু ভেঙে ৯ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এরপর স্থানীয়রা ভাঙা সেতুর জায়গায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে চলাচল করছে। আমি বিভিন্ন মিটিংয়ে জানিয়েছি তাও এখনো কোনো সুরাহা পাইনি।

সেতুর চেহারা দেখেই দুরবস্থা বোঝা যায়-ছবি জাগো নিউজ

বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া নামক স্থানের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বরগুনা পৌরসভার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে আমাদের এই সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বাঁশের সাঁকো দিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। আমাদের সেতুটি ভাঙার মূল কারণ হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী। শহর থেকে আমাদের এখানে আসলে মানুষ অবাক হয়, শহরে এত কাছে হওয়ার পরেও সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সরকার যদি এ বিষয়ে নজর দিত তবে আমাদের জন্য ভালো হতো।

বিজ্ঞাপন

বরগুনা সদর উপজেলার নায়েব বাড়ি সেতু সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় দুই বছর যাবৎ আমাদের সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। মাঝখানে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে আমরা চলাচল করি। এই সাঁকো দিয়ে চলার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আমি নিজেও সেদিন পড়ে গিয়ে আহত হয়েছি। আমি চাই দ্রুত এখানে একটি সেতু বা পায় চলার জন্য নিরাপদ কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক।

ভেঙে পড়া সেতু নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরগুনার সভাপতি মনির হোসেন কামাল জাগো নিউজকে বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো সেতু ভেঙে পড়েছে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি সবগুলো সেতু নির্মাণের সময় অনিয়ম হয়েছে। যে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার কথা তা সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে সম্প্রতি আউয়াল নগর সেতুটি ভেঙে পড়েছে সেই সেতুতে রেলের স্লিপার দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেওয়া হয়েছে সাধারণ লোহার বিম। যে কারণে সেতুটি তার আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে। এভাবে আমরা জানতে পেরেছি, বরগুনা জেলার প্রায় সব কটি লোহার সেতু নির্মাণে ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি যোগসাজশে অর্থ লোপাটেরও ঘটনা ঘটেছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও নির্মাণ ত্রুটির কারণে এগুলো ভেঙে পড়েছে। এতে জীবনহানির পাশাপাশি এ সমস্ত এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। ভেঙে পড়া সেতুগুলো কবে নির্মাণ হবে তারও কোনো সঠিক দিন-তারিখ পাওয়া যাচ্ছে না।

সব উপেক্ষা করে চলতে হয় মানুষকে-ছবি জাগো নিউজসব উপেক্ষা করে চলতে হয় মানুষকে-ছবি জাগো নিউজ

বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে বেশি সেতু ধসের বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমতলীতে সেতু ধসে নিহতের ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এই উপজেলায় ৯৯টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ২৯টি সেতু খুব জরুরিভাবেই নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় সরকার বিভাগ এলজিইডিসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি আশা করছি তাদের তরফ থেকে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বরগুনায় ৩৫৭টি লোহার সেতু সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৪২ জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নতুন কোনো প্রকল্প না আসলে এসব সেতু নির্মাণ বা মেরামত করা সম্ভব নয়। আমি এ বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সবকটি লোহার সেতুর পুনঃনির্মাণের বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। আমরা আশা করছি নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সেতু নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে বরগুনারবাসীর দীর্ঘদিনের কষ্ট ও দুর্ভোগ কেটে যাবে।

এনএএ/এসএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।