পাবনায় যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

পাবনার সাঁথিয়ায় যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম মাস্টারকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে নিহতের ভাই আব্দুল বাছেদ বাদী হয়ে ১১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেন।
এর আগে সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, উপজেলার বাগপুর এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে মেহেদী হাসান ইমু (৩০) ও একই এলাকার চাঁদ উল্লাহর ছেলে মিঠুন (৩২)। ইমু এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, রাতেই এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মৌখিকভাবে স্বীকার করেছেন আসামিরা। ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারেও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ক্ষেতুপাড়া এলাকার খালেক, ইমু ও মিঠুর সঙ্গে নিহতের পূর্ববিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে গত সোমবার (১০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে আমিরুলের ভাই আশরাফকে ধরে মারধর করেন দুর্বৃত্তরা। এ খবর শুনে আমিরুল সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে সিএনজিতে করে তুলে কিছু দূরে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আলমগীর হোসাইন/এফএ/এমএস