চুয়াডাঙ্গায় তরমুজের দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ০৮ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার বাজারে তরমুজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। ছোট আকারের তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় এবং বড় আকারেরগুলো ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বিক্রেতারা প্রতিটি তরমুজে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতারা অস্বস্তিতে পড়েছেন।

শহরের বড় বাজার, রেল বাজার, কোর্ট মোড়সহ বিভিন্ন ফলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজের দোকানে ক্রেতাদের ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা জানান, তরমুজ গত বছরের তুলনায় এবার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, এবার চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ আসছে কুয়াকাটা অঞ্চল থেকে। সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম তুলনামূলক বেশি। এবার কেজি দরের পরিবর্তে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।

তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর যে আকারের তরমুজ ১৫০ টাকায় কিনেছিলাম, এবার সেটা ২৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। দাম বেশি হলেও ইফতারের জন্য কিনতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিক্রেতাদের দাবি, তারা স্বাভাবিক দামে তরমুজ বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি।

ব্যবসায়ী হারুন ও তানভির জানান, এবার তরমুজের সরবরাহ ভালো, দামও খুব বেশি না। তবে এবার সব তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় তরমুজের দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা কাঁচামাল ও আড়ত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাজমুল মিয়া ও মহাসিন আলী বলেন, বাজারে ফল ঠিক দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেমন দামে কিনছেন তার থেকে সামান্য বেশি দামে বিক্রি করছেন। দাম ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে থাকায় তরমুজ বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।

বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, তরমুজসহ ইফতারের প্রয়োজনীয় ফলমূল যেন অতিরিক্ত দামে বিক্রি না হয় এবং কোনো সিন্ডিকেট যেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান চলছে।

বিজ্ঞাপন

হুসাইন মালিক/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।