টাঙ্গাইলে মাসব্যাপী বিনামূল্যে উন্মুক্ত ইফতার

টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনারে চলছে মাসব্যাপী বিনামূল্যে ইফতার কর্মসূচি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এখান থেকে ইফতারি সংগ্রহ করছেন বিনামূল্যে। শুধু গরিব ও অসহায় মানুষ নয়, টাঙ্গাইল শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ও টহল পুলিশের সদস্যদের জন্যও এখান থেকে বিনামূল্যে ইফতার দেওয়া হচ্ছে।
এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিবেণী টাঙ্গাইল এবং বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি ব্যাচ-১৯৯২। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ রোজাদার বিনামূল্যে এখানে ইফতার করছেন।
ইফতারে সপ্তাহে চারদিন দেওয়া হয় ছোলা, মুড়ি, আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজু, জিলাপি, শসা, ফল এবং শরবতসহ বেশ কয়েকটি আইটেম। বাকি তিন দিন (রবি-বুধবার) খিচুড়ি ও মাংস।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইফতার করার জন্য সারিবদ্ধভাবে লোকজন বসে আছেন। এদের কেউ স্কুলছাত্র, ব্যবসায়ী, ভ্যানচালক; আবার কেউ রিকশাচালক, পথচারী, ভিক্ষুক, অসহায় এবং দরিদ্র শ্রেণির মানুষ।
ইফতার করতে আসা আমেনা নামের একজন ভিক্ষুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনদিন ধরে আমি এখানে ইফতার করছি। পুরো রমজান এখানে ইফতার করবো। আজকে খিচুড়ির সঙ্গে বড়া দেওয়া হয়েছে। খেতে খুব সুস্বাদু।’
রিকশাচালক ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইফতারি কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই। দুই থেকে তিন বছর ধরে এখানে ইফতার করছি। খিচুড়ি, মাংসের পাশাপাশি মুড়ি, পেঁয়াজু, বুট, কলা খেয়েছি। তাদের খাবারের মান খুব ভালো।’
এ বিষয়ে ত্রিবেণীর সদস্য বিভূতি ভট্টাচার্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতিদিন ৩০০ জন রোজাদার এখানে ইফতার করেন। মূলত পথচারী এবং গরিব মানুষের জন্য এমন আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ও টহল পুলিশের প্রায় ৩৫ সদস্যের জন্যও এখান থেকে বিনামূল্যে ইফতারি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।’
ত্রিবেণীর সভাপতি মোমেনুল ইসলাম খান বাপ্পী বলেন, অসহায় অনেক মানুষের রমজান মাসে ইফতারি কেনার সামর্থ্য নেই। এছাড়া দূরের অনেক মানুষ রমজানের সময় টাঙ্গাইলে এসে ঠিকমতো ইফতার করতে পারেন না। মূলত তাদের কথা চিন্তা করে আমরা বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করেছি।
এসআর/জিকেএস