মিরসরাইয়ে হচ্ছে ৫০ মেগাওয়াটের সোলার পার্ক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ পার্ক। এরইমধ্যে ‘সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিমিটেড’ নামে প্রকল্পের জন্য জমি কিনে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ বছর মেয়াদি শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগে বিদ্যুৎ পার্কটি নির্মাণ করছে জার্মানভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আইবি ভোগট বিডি’।
ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে এটি তাদের প্রথম বিনিয়োগ। প্রায় ৭৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে এই পার্কে উৎপাদন হবে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা বারইয়ারহাট গ্রিড হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
‘আইবি ভোগট’ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সৌর বিদ্যুৎভিক্তিক একটি পার্ক নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২৯ সালে বিদ্যুৎ পার্ক নির্মাণের কাজ পায় জার্মানভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আইবি ভোগট’। আইবি ভোগট তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিমিটেডের’ নামে জমি কিনে বিদ্যুৎ পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। পার্কটি নির্মাণে করেরহাট ইউনিয়নের ঘেরামারা মৌজায় প্রায় ১৬০ একর নিষ্কণ্টক জমি কেনার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ১৪২ একর জমি কিনে তাতে কাঁটাতার ও পিলার দিয়ে ঘেরা হয়।
- আরও পড়ুন
- বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ
- এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে-
সরেজমিন করেরহাট ইউনিয়নের ঘেরামারা গ্রামে দেখা গেছে, রামগড়-বারইয়ারহাট সড়কের ফরেস্ট অফিস থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ১৪২ একর উঁচু নিষ্কণ্টক জায়গায় কাঁটাতার ও খুঁটি দিয়ে ঘেরা হয়েছে। যদিও সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিমিটেডের নামে দেওয়া সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ১৬০ একর। প্রকল্প এলাকার চারপাশে কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এসব জায়গায় একসময় কাসাবা চাষ হতো বলে জানান স্থানীয়রা। সৌর পার্কের জন্য নির্বাচিত স্থানটি বারইয়ারহাট ১৩২/৩৩ কেবি ট্রান্সফরমার সাবস্টেশনের কাছে অবস্থিত।
আইবি ভোগটের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ পার্কটি পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে। ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন পার্কটিতে প্রায় ৭৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। ‘ডিটরোলি এনার্জি’ নামে একটি মালেশিয়ান কোম্পানি বিদ্যুৎ পার্কটির অবকাঠামো নির্মাণ করবে। বিদ্যুৎ পার্কটি চালু হলে আড়াই থেকে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে পার্কটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্পটির উন্নয়ন পরিচালক মো. মাহবুব হাসান বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পের গুরুত্ব রয়েছে। ‘আইবি ভোগট’ বাংলাদেশে এসেছে প্রায় পাঁচ বছর। ইউরোপীয় উদ্যোক্তার এটি বাংলাদেশে প্রথম বিনিয়োগ। প্রকল্পটি সফল হলে আরও বেশি বিনিয়োগ করবে ‘আইবি ভোগট’। ১৫ মাসের জন্য নেওয়া এই প্রকল্প চলতি বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসআর/জিকেএস