বাগেরহাটে সাইক্লোন শেল্টারে ১৫ হাজার মানুষ


প্রকাশিত: ০৫:১৫ এএম, ২১ মে ২০১৬

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে শনিবার ভোর থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৭ হাজার মানুষ সেখানকার ৭টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।

এছাড়া সুন্দরবন ও বলেশ্বর নদী সংলগ্ন শরনখোলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৮ হাজার মানুষ সেখানকার ১১টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে বলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ইতোমধ্যে দেশের উপকূলীয় জেলা ভোলায় আঘাত হেনেছে। সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তবে বাগেরহাটে এখন কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মংলা বন্দরে সকল ধরনের কাজ বন্ধ বয়েছে। শনিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলেও তিনি জানান।

এদিকে, রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মংলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে থেমে থেমে দমকা হাওয়া শুরু হয়। তবে শনিবার ভোর রাত থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারি বর্ষণে জন জীবন থমকে গেছে। ঝড়ে ক্ষতি এড়াতে বঙ্গোপসাগর ও বিভিন্ন নদী ও খালে মাছ ধরারত শত শত ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
 
ঘুর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় বাগেরহাট জেলার ২৩৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রায় কেন্দ্রে ২লাখ ২৬ হাজার ৫শ ৫৫জন মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বাগেরহাটের জেলা  প্রশাসন মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান।
 
তিনি আরো জানান, বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় ৪টি উপজেলার ইউএনওদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে জেলায় ১৬টি কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

এছাড়াও রেডক্রিসেন্টসহ সকল সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক কর্মী মংলা ও শরনখোলায় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ঝড়ের পূর্বেই  উপকূলীয় এলাকার মানুষ যাতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য শুক্রবার দুপুর থেকে বাগেরহাট জেলার ২৩৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শওকত আলী বাবু/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।