স্কুল ঘেঁষে রেললাইন

ঝুঁকিতে শিক্ষার্থী আতঙ্কে অভিভাবক

জাহিদ পাটোয়ারী
জাহিদ পাটোয়ারী জাহিদ পাটোয়ারী , কুমিল্লা কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুমিল্লার লাকসামের তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে গেছে রেললাইন। স্কুলটির প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও নির্মাণ হয়নি সীমানা প্রাচীর। এতে ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি, দ্রুত প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। অন্যথায় সন্তানদের ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দেবেন।

সূত্র মতে, লাকসাম-নোয়াখালী রেলরুটের পাশে উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের তপইয়া গ্রামের অবস্থিত তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটিতে ১১৫জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ছে। ঝুঁকি থাকায় প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী সংখ্যা কমছে।

বিজ্ঞাপন

তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল ওয়াদুদ খোকন বলেন, ‘ময়ুরেন্নেছা স্কুলে মনপাল, তপইয়া ও কৃষ্ণপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় ছেলে-মেয়েরা ঝুঁকিতে রয়েছে। দেরি না করে দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

আলেয়া বেগম নামে মনপাল গ্রামের এক অভিভাবক বলেন, ‘সকালে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে বাড়িতে আসার আগ পর্যন্ত আতঙ্কে থাকি। কখন সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে। কর্তৃপক্ষ কেন যে নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় সেটাই বুঝে আসেনা।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তপইয়া গ্রামের আরেক অভিভাবক বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে বেঁচে থাকলে পড়াশুনা করতে পারবে। মইরা গেলেতো আমাদের কোল খালি হবে, শিক্ষকদের কি হবে? আমাদের দাবি, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে রেললাইনের পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। না হয় আমরা অভিভাবকরা এক হয়ে ছেলে-মেয়েদের ক্লাসে যেতে দিবো না।’

এ বিষয়ে স্কুলের শিক্ষক বিদ্যুৎ পাল বলেন, ‘ট্রেন এলে আমরা রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। যাতে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে উঠতে না পারে। এছাড়া স্থানীয়রাও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সবসময় তৎপর থাকেন।’

ঝুঁকির কারণে প্রতিবছর শিক্ষার্থী কমছে জানিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। গত দুই বছর ধরে আমাদের পক্ষ থেকে জোর চেষ্টা চলছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে লাকসামে কোন সীমানা প্রাচীর হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদেরটা হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাচীর নিমার্ণের বরাদ্দ পাশ হবে।’

এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।