চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, ১১ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

টঙ্গীতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের কারণে ১১ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে ওইসব কারখানা থেকে যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন তারা এ ভাঙচুরে অংশ নেন বলে অভিযোগ শ্রমিক ও কারখানার কর্মকর্তাদের।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে কাজে যোগ দেন টঙ্গীর বিসিক এলাকার সব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত কয়েকশ শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার গেটে অবস্থান নেন। তারা কর্মরত শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানান।

এসময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা তাদের ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা ওই ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালান। নিজ কারখানার ভাঙচুর ঠেকানের চেষ্টা করেন শ্রমিকরা। এতে চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে ভাঙচুর এড়াতে ওই কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এসময় চাকরিচ্যুত অন্তত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।

ছুটি ঘোষণা করা কারখানাগুলো হলো- টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসি নিট ফেব্রিক্স লিমিটেড, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, পেট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেলিসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিনস অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড।

চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, ১১ কারখানা ছুটি

এদিকে দুপুর দুটার দিকে কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করলে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা টঙ্গীর বিসিক এলাকার পানির ট্যাঙ্কির শাখা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। দুপুর ৩টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেন তারা।

চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রমজান হোসেন বলেন, কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কারখানায় থাকা শ্রমিকদের আমাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালে তারা যোগ দেয়নি। ফলে আমরা সড়কে অবস্থান করি। দাবি না মেনে নিলে কোনো শ্রমিকদের গার্মেন্টসে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মানবসম্পদ) হেমায়েত উদ্দিন বলেন, সকালে বহিরাগতরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে প্রধান ফটকে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর ও ক্ষতি এড়াতে ছুটি ঘোষণা করেছি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন বলেন, চাকরিতে বৈষম্য ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়ে কয়েকশ শ্রমিক ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালায়। বিক্ষুব্ধরা টঙ্গীর বিসিকের একটি সড়কে অবস্থান নেন। তাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।