দেশে প্রথমবারের মতো ‘কৃষক দিবস’ পালন

দেশে প্রথমবারের মতো ‘কৃষক দিবস-২০২৫’ পালন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দিবসটি উদযাপিত হয়।
বাকৃবি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (বাউএক) উদ্যোগে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বর্ণাঢ্য কৃষক শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় বেলা ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় অংশ নেন কৃষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা হয়।
‘কৃষকবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণই হোক আমাদের অঙ্গীকার’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু।
সভায় বাউএকের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বাউএকের কার্যক্রমের ওপর সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ছয়জন কৃষক-কৃষাণীকে বিশেষ সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়।
উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বাকৃবির সব শিক্ষক-কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী এবং সর্বোপরি এদেশের প্রতিটি কৃষক-কৃষাণী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাতীয় পর্যায়ে দেশের কৃষকদের গুরুত্ব এবং মর্যাদা অধিকতরভাবে ফুটিয়ে তুলতে বাকৃবি প্রশাসন এখন থেকে প্রতিবছর কৃষক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এখন থেকে প্রতিবছর জানুয়ারির শেষ বৃহস্পতিবার কৃষক দিবস পালন করবে।
আসিফ ইকবাল/জেডএইচ/জিকেএস