নীতিমালা ছাড়াই দোকান, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ইবি
![নীতিমালা ছাড়াই দোকান, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ইবি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/iu-1-20250130093108.jpg)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা হচ্ছে দোকানপাট। এতে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও প্রকৃতি। নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।
এসব দোকান স্থাপনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। তবে নীতিমালার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ মিলে প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। এসবের মধ্যে অধিকাংশই চা-সিগারেটের দোকান। বাকিগুলো খাবার হোটেল। কিছু রয়েছে স্টেশনারি দোকান। তবে একই ধরনের একাধিক দোকান থাকলেও ক্যাম্পাসে কোনো ফার্মেসি, সেলুন ও লন্ড্রির দোকান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলের সামনে, জিয়া মোড়ে, ঝাল চত্বরে এবং ডরমিটরির সামনে এসব দোকান অবস্থিত। এসব খাবার হোটেলের রান্নার ধোঁয়ায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ছে। এছাড়া এসব দোকানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেই। ফলে দোকানগুলো যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে জিয়া মোড়ে এবং বঙ্গবন্ধু হলের পুকুরের পাশে খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলায় এসব স্থান থেকে অনবরত দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এসব উচ্ছিষ্টের কারণে মশার উপদ্রব বাড়ছে। নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ প্রায় শতাধিক দোকানের মধ্যে ৫৪টি দোকান থেকে ভাড়া তুলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর বিষয়ে এস্টেট অফিস অফিসিয়াল কোনো অনুমতি দেয় না। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকান বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠছে। এসব দোকানের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে গেলে সেসব ব্যক্তিদের বাধার মুখে পড়ছে প্রশাসন। এছাড়া ক্যাম্পাসে দোকান স্থাপনের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। ফলে যত্রতত্র দোকান গড়ে উঠছে। তবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার বিষয়ে ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে এস্টেট অফিসের প্রধান আলাউদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দোকান স্থাপনে নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। তবে কীভাবে পরিকল্পিতভাবে দোকান স্থাপন করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় অপরিকল্পিত দোকান গড়ে উঠেছে। যত্রতত্র ভ্রাম্যমাণ দোকান বসছে। এ বিষয়ে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে ছাত্রসংগঠনের লোকজন এসে বাধা দেয়। তাই শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় না।’
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসের দোকানের বিষয়ে এরইমধ্যে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী দোকানগুলোকে শিগগিরই একটা নির্দিষ্ট সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। আমরা আপাতত কেন্দ্রীয় মসজিদের নিচে এবং বঙ্গবন্ধু হলের পুকুরের পাশের স্থান দুটি সিলেক্ট করেছি। সেখানে সব দোকান নিয়ে আসা হবে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো উঠিয়ে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘আমি প্রক্টর হওয়ার পর কোনো দোকানের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। দোকান স্থাপনের বিষয়ে অনেকগুলো আবেদন করা হয়েছে। কীভাবে সুনির্দিষ্টভাবে দোকানের অনুমোদন দেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা ভাবছি।’
এফএ/এএসএম