ছাত্রলীগের কার্যালয় ভেঙে ফেলার উদ্যোগ শেকৃবি প্রশাসনের
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা ছাত্রলীগের কার্যালয় ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ পদক্ষেপ নেয়। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শেকৃবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র থেকে জানা যায়, বিগত সময়ে গড়ে ওঠা ছাত্রলীগের এই কার্যালয় অবৈধভাবে দখল করা। এক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার বিভাগের অংশ ছিল এই ভবন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যা ছাত্রলীগের দখলে ছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরফান আলি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রক্ষিতে নির্দিষ্ট কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ছাত্রলীগের কার্যালয় ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কবি কাজী নজরুল হলের সামনে এই ভবন থাকায় দেখতেও অসুন্দর লাগে। এসব বিষয়ও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষিত হওয়ায় এ ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম এবং তৎপরতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবৈধ। অবৈধ কোনো সংগঠনের কার্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না বলেও অবহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
- আরও পড়ুন
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘মেধাবীর মিল’ কর্মসূচি
- সেবা না পেয়েও প্রতি মাসে বিটিসিএলকে বিল দিচ্ছে বেরোবি
প্রশাসনের এ উদ্যোগ যথার্থ মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শেকৃবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আশিক আহমেদ বলেন, ছাত্র সংগঠনের কাজ ছাত্রদের বিভিন্ন যৌক্তিক আন্দোলনে তাদের পাশে দাড়ানো। তাদের দাবি আদায়ে সাহায্য করা। কিন্তু ছাত্রলীগ তা না করে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও তারা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। বর্তমানে তারা একটি নিষিদ্ধ সংগঠন, কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যালয় শেকৃবিতে থাকতে পারে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যালয় ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া স্থাপনাটি ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য নষ্ট করছিল। ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বর্ধনে যথোপযুক্ত নিয়ম অনুসরণ করেই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
সাইদ আহম্মদ/কেএসআর/এএসএম