এবার রাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলালেন শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৫

৩ দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত ভবনে তালা ঝোলানো থাকবে এবং কাউকে প্রবেশ করতে বা বের হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় পোষ্য কোটা বাতিল, জুলাই বিপ্লবে বিরোধিতাকারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি ও আওয়ামী লীগের দোসর দুই শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ এনে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে গণক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, এই প্রশাসনকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাবেদারি করার জন্য নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি যদি আপনার কাছে অন্যায় আবদার মনে হয় তাহলে আপনি বড় ফ্যাসিস্ট। শুধু আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট নয়, অযৌক্তিক বিষয়কে যারা যৌক্তিক করার জন্য ভেতরে লড়াই করছেন তারাই বড় ফ্যাসিস্ট। আপনারা আমাদের ষড়যন্ত্রকারী বলছেন, আমরা বলছি ভিসি, প্রো-ভিসিসহ প্রশাসনিক ভবনের সবাই আপনারা ফ্যাসিস্টের দালাল।

তিনি আরও বলেন, আপনারা হয় পোষ্য কোটা বাতিল, আওয়ামী লীগের দোসরদের খুঁজে বের করে মামলা করবেন, ফ্যাসিস্টের দোসরদের নিয়োগ দেওয়ায় রেজিস্ট্রার, ভিসি এখানে সবার সামনে গণক্ষমা চাইবেন নতুবা শীতকালীন ছুটি যাবে, গরমকালীন ছুটি যাবে তবুও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলবে।

এ বিষয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা সার্বিক বিচার বিশ্লেষণ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সাধারণ কর্মচারীদের জন্য ১% কোটা রেখেছি। আসলে আপনারা যদি খোঁজ নেন দেখতে পাবেন তাদের জন্য এটা রাখা যৌক্তিক। তাদের অবস্থা ভালো হয়ে গেলে আগামীতে এটাও বাতিল করা হতে পারে। তবে এ বছর ১% বহাল থাকবে।

আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া শাস্তি দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে অবশ্যই আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

এছাড়া আওয়ামী লীগের দুই শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্যগত ত্রুটি ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না সে বিষয়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলেন জানান উপাচার্য।

বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের ১ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কমিটির সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব সভায় সভাপতিত্ব করেন। এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আজ প্রশাসন ভবনে তালা দেন তারা।

মনির হোসেন মাহিন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।