ঢাবির সংস্কৃত বিভাগ
স্বৈরাচারের দোসরকে চেয়ারম্যান করার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর ও জুলাই বিপ্লবে সন্ত্রাসীদের ইন্ধনদাতা সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্চিতা গুহকে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে পদায়ন করার অভিযোগ ও এর প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি নিয়ে উপাচার্যের কাছে যান তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। কিন্তু জুলাইয়ে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যার মদদ দিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্চিতা গুহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর থাকাকালীন সময়ে তার প্রত্যক্ষ মদদে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়।
- আরও পড়ুন
- হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, রুখে দিলেন শিক্ষার্থীরা
- প্রতিবাদের গল্পগুলো আঁকা থাক দেওয়ালে দেওয়ালে
- শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা অনিচ্ছাকৃত ভুল: ঢাবি প্রশাসন
তারা বলেন, সঞ্চিতা গুহ বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে তখন দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেছেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজারুল রহমান বাবুর ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলার উসকানি দেন। তবুও বর্তমানে তাকে বিভাগের চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে যা ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানির শামিল।
মানববন্ধন থেকে সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা সঞ্চিতা গুহের সম্ভাব্য নিয়োগকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় তারা দুই দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো
১. আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর ও সন্ত্রাসীদের ইন্ধনদাতা ড. সঞ্চিতা গুহকে সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এবং
২. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য অদম্য-১৪, প্রত্যয়ী-১৫, সংকল্প-১৬, সুশ্চম-১৭ এবং সৌরচান্দ্রিক ১৮ ব্যাচের কোনো ক্লাস তাকে দেওয়া যাবে না।
মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে সংস্কৃত বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএ/এসএনআর/জিকেএস