ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের বিক্ষোভ, রাকিব-নাছিরের কুশপুতুল দাহ
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের কুশপুতুল দাহ করা হয়।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা কলেজ বিজয় চত্বরের সামনে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জড় হতে থাকেন। এ সময় সদ্য ঘোষিত কমিটিকে অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করা পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে পারবে না বলে জানান বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ‘রাকিব-নাছিরের কমিটি মানি না মানবো না, রাকিব-নাছিরের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, ছাত্রলীগের কমিটি মানি না মানবো না, আমাদের ক্যাম্পাস আমরাই থাকবো, ভাই মানার কমিটিরা হুঁশিয়ার সাবধান, ছাত্রলীগের দালালেরা মানি না মানবো না, অবৈধ কমিটি মানি না মানবো না, ভাই মানা কমিটি মানি না মানবো না, ককটেল দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ স্লোগান দেন।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি ঢাকা কলেজে ভর্তির পর থেকে ছাত্রদল করি। এ পর্যন্ত যত প্রোগ্রাম ছিল সব জায়গায় অংশগ্রহণ করেছি। ২০১৭ সালে যে কমিটি হয়েছিল সেখানে সদস্য ছিলাম এবং তার পরের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ২৮ অক্টোবরের পরে আমরা জীবনবাজি রেখে রাজপথে ছিলাম। রাজপথে থাকার পরে দলীয় যে নির্দেশনা দিয়েছে সব যথাযথভাবে পালন করেছি। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সাধারণ ছাত্রদের পাশে থেকে আমরা সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা ও ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন চালিয়ে যাই।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, দলের একটি খারাপ চক্র তারা দলের ভেতর দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টির জন্য অনেক পাঁয়তারা করে এবং দেখা যাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল একটা কমিটি হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী ছাত্রলীগের একটি চক্র সক্রিয় ছিল। সেই চক্র ঢাকা কলেজের যে কমিটি হয়েছে, সেই কমিটিতে জায়গা পেয়েছে।
এ সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তাজবি উল, সহ-সভাপতি আবির ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের বাংলা বিভাগের (২০০৯-১০) সেশনের পিয়াল হাসান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের (২০১২-১৩) সেশনের মো. মিল্লাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
কমিটিতে অযোগ্যদের স্থান দেওয়ার অভিযোগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পদবঞ্চিত আনুমানিক ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী নায়েমের গলি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি মিরপুর সড়ক হয়ে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনের সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা।
পরে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঢাকা কলেজে মূল ফটক, কলেজ সংলগ্ন মিরপুর রোডের একাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এনএস/এমআরএম/এমএস