বাংলাদেশ আইন সমিতির নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতির (বিএলএ) ২০২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন আন্তর্জাতিক আদালতের সাবেক বিচারক এবং সমিতির সদস্য ড. শাহজাহান সাজু।
এরই মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী, পদপ্রত্যাশী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের তারিখ ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৩ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর।
- আরও পড়ুন
পবিপ্রবিতে ছাত্রীকে হেনস্তা, শিক্ষক বরখাস্ত
ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ
নির্বাচনের বিষয়ে ঢাবির আইন বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ব্যারিস্টার শিবলী সাদিক বলেন, দীর্ঘদিন পর একটা উৎসবমুখর নির্বাচনের প্রত্যাশায় আছি আমরা সবাই। আমি চাইবো সমিতির সাধারণ সদস্যরা যেন সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। এ সমিতিকে যেন নিজের বলে মনে করতে পারে। স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশা করছি।
ব্যারিস্টার শিবলী সাদিক আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে যে বা যারাই নির্বাচিত হোক না কেন, সমিতির কার্যক্রম যেন কেবল পিকনিক, ইফতার মাহফিল ইত্যাদির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। বাংলাদেশ আইন সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ আইন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ক্যারিয়ার বিষয়ে, প্রাক্তন শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন তাদের জন্য সৃজনশীল ও প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড আয়োজন করবে- এ প্রত্যাশা থাকবে।
বাংলাদেশ আইন সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির দপ্তর বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও আইন বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বেল্লাল হোসাইন (মুন্সি বেল্লাল) বলেন, বাংলাদেশ আইন সমিতি আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবার। দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের মাধ্যমে এখানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। তবে এই সুযোগে যেন পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো দোসর পুনর্বাসিত হতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আশা করি, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পির-মুরিদ কালচারের মতো কথিত যে দোয়া নেওয়ার মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিভিন্ন পদে আসীন হওয়া যেত- তা আর থাকবে না।
এমএইচএ/কেএসআর