১০ বছরেও উন্নতি হয়নি শেকৃবির সিড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শেকৃবি
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অবহেলায় চলছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠার দশ বছর পার হলেও নেই কোনো ল্যাবরেটরি রুম, গবেষণার যন্ত্রাংশ, নির্দিষ্ট ক্লাসরুম, ইনস্টিটিউটে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী। এছাড়াও রয়েছে বাজেট স্বল্পতা।

জানা যায়, ২০১৪ সালে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইনস্টিটিউট। বর্তমানে স্নাতকোত্তরের দুই সেমিস্টারে মোট ২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত তবে পিএইচডির কোনো শিক্ষার্থী নেই। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরাও ক্লাস রুম, গবেষণা যন্ত্রাংশ সংকটের কারণে তাদের পড়ালেখা ও গবেষণা সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারছেন না।

ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, যেখানে ক্লাস করি পাশেই সিড সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। মাইক্রোস্কোপ, ফ্রিজ, পেট্রিডিশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম প্রয়োজন। যা আমাদের অর্জিত জ্ঞান মাঠে প্রয়োগ করতে পারি। বর্তমান শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে যত দ্রুত সম্ভব গবেষণাগার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজনীন সুলতানা জানান, আমাদের ক্লাস রুম সংকট, বাজেট সংকট রয়েছে পর্যাপ্ত যন্ত্রাংশ নেই তবে বই থেকে অর্জিত জ্ঞান মাঠে কীভাবে গবেষণার উদ্দেশ্য কাজ করা যায় এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত। সঙ্গে সিডবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা। জরুরি সিড টেস্ট মেশিন ব্যবস্থা করতে পারলে শিক্ষার্থী এবং গবেষক সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, বর্তমান প্রশাসন সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের মূল কাজ পড়ালেখার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যেহেতু এই ইনস্টিটিউটে গবেষণা রুম এবং যন্ত্রাংশ গুরুত্বপূর্ণ তাই যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, এই ইনস্টিটিউটে এগ্রোনেমি, হর্টিকালচার, জেনেটিক্স, প্যাথোলজি, এন্টোমলজি এই পাঁচ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ক্লাস নেয়। বর্তমানে কৃষি অনুষদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের প্রত্যেক ব্যাচের ক্লাস চলমান। যেখানে দৈনিক ১২টার বেশি ক্লাসরুম প্রয়োজন। সেখানে অনুষদে মাত্র সাতটি ক্লাসরুম আছে। তাও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আমরা বর্তমানে সাময়িকভাবে কেন্দ্রীয় গবেষণাগার ভবনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বায়োটেকনোলজি ল্যাবে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। কোনো ব্যাচ যেন ক্লাস হয় না এমন কথা বলতে না পারে। এই ইনস্টিটিউটের জন্য গবেষণা রুম এবং ক্লাসরুমসহ যা যা প্রয়োজন গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে সমাধান করার চেষ্টা চলমান।

সাইদ আহম্মদ/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।