ঢাবিতে ওষুধ শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে কর্মশালা
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। এতে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা হারাতে পারে। তাই শিল্পটির ‘২৬ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে এ কর্মশালার আয়োজন করে গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ‘রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট- র্যাপিড’।
কর্মশালায় বাংলাদেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোর বাণিজ্য বিষয়ক সাংবাদিকেরা অংশ নেন। সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মাত্র পাঁচ থেকে দশ পার্সেন্ট ওষুধ তৈরি করতে পারে। অন্যান্য ওষুধগুলো তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের নেই। এ পাঁচ থেকে দশ পার্সেন্টেরও আবার রয়্যালটি দেওয়া লাগছে না। পেটেন্ট থাকা সত্ত্বেও দেওয়া লাগছে না। এটা একমাত্র সম্ভব হচ্ছে কারণ আমরা এলডিসি কান্ট্রির আওতাভুক্ত।
তিনি বলেন, কিন্তু ২৬ সালে আমরা যদি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হই তাহলে এ রয়্যালটি দিতে হবে। যার ফলে ঔষধের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। যা শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ সময় তিনি বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাখ্যা করে পেটেন্ট থাকা সত্ত্বেও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের কেন রয়্যালটি দেওয়া লাগে না তা ব্যাখ্যা করেন।
উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর প্রক্রিয়াগত কারণে বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের কাছে রয়্যালটি চাওয়ার একটি আইনি সম্ভাবনা আছে। তিনি আইনগত ও যৌক্তিকভাবে তা মোকাবিলার দিকনির্দেশনা দেন। ২৬ পরবর্তী তিন বছর বিদেশি কোম্পানীগুলোকে রয়্যালটি দিতে হবে না বলেও জানান তিনি। কারণ এ প্রক্রিয়াটি এলডিসি থাকাকালীনই ছিল। তিন বছর পর থেকে বাংলাদেশকে পেটেন্ট অনুযায়ী রয়্যালটি দিতে হবে।
এমএইচএ/এমএএইচ/এমএস