জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

খাবারের আয়োজন ঘিরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে উত্তেজনা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের মিলনমেলার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন জাবির বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) ভবনের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জাবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসাইনের উদ্যোগে ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রদলের ব্যানারে ‘দুপুরে ডাল-ভাতের দাওয়াত’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছাত্রদলের সব গ্রুপকে দাওয়াত দেওয়া হলেও সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের গ্রুপকে ডাকা হয়নি। তার পরিপ্রেক্ষিতে পারভেজ মল্লিক গ্রুপের নেতাকর্মীরা আয়োজনস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে দুই গ্রুপ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সাবেক নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ভবনের পেছনে বোমাসদৃশ বস্তু রাখার বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হয়। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী এবং আশুলিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে পানি দিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।

খাবারের আয়োজন ঘিরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে উত্তেজনা

এ বিষয়ে পারভেজ মল্লিক গ্রুপের নেতাকর্মীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাব্বির সবাইকে না জানিয়ে ছাত্রদলের ব্যানারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন। আমরা সেটা কখনই চাই না, তাই প্রতিবাদ করেছি।

এ বিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসাইনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটুক, তা আমরা চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা প্রাক্তন, অ্যালামনাই আছেন, তাদের সচেতন হওয়া উচিৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা তাদের দায়িত্ব।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খবরে এখানে এসেছি। ঘটনাস্থল থেকে বোমাসদৃশ একটি বস্তু উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করা হয়। আমাদের মনে হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য এ কাজ করা হয়েছে।

সৈকত ইসলাম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।