সোমবার ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী-নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫০ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজ ভাঙচুর চালায় অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবারকে (২৫ নভেম্বর) ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করেছেন এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে কলেজ দুইটিসহ ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এমন প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

সাগর মৃধা নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুক গ্রুপে পোস্টে লেখেন, আজকের কবি নজরুল সরকারি কলেজের ওপর যে বর্বর হামলা চালানো হয়েছে, এর প্রতিবাদে আগামীকাল কবি নজরুল সরকারি কলেজের সব ভাই ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকবেন। সেখানে সিনিয়র এবং সবার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল লিখেছেন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজে আজ পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সরকারি তিতুমীর কলেজের সব শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় আহত শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কাপুরুষোচিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবি করছি।

এরই মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজে ড. মাহবুবুর মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি) এবং অন্যান্য কলেজের ছাত্ররা হামলা চালিয়েছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে অধ্যক্ষ পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন দিয়েও সন্তোষজনক কোনো সাড়া পাননি। হামলাকারীরা কলেজ ভাঙচুর করে এবং কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। তারা কলেজের ১৭ বিভাগের প্রতিটিতে হামলা চালায় এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সনদ ও বিভাগীয় সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আগুনে পুড়িয়ে দেয়। একই সময়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজেও বর্বরোচিত হামলা চালায়।

এতে আরও বলা হয়, আজকের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রধান ফটকে সব সাধারণ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ মিছিল করা হবে।

তবে এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। তারা পাল্টা আক্রমণে যাননি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, কেউ কোনো গ্রুপে উসকানিমূলক কিছু লিখবেন না এবং শান্ত থাকবেন।

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজের শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থীরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে, তারা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালাবেন না। যদি কোনো সন্ত্রাসী এই সুযোগের অপব্যবহার করে তবে এর জন্য সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক ও কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা দায়ী থাকবে না।

এনএস/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।