জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ্যে সুস্থ রাজনীতির চর্চা চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে ও সুস্থ চর্চার মতাদর্শিক লড়াইয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক মাঠেই সংগঠনগুলোর মূল্যায়ন হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রাপ্ত নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশের সব ক্ষেত্রে সংস্কার অতি আবশ্যকীয়। পুরোনো ঘুণে ধরা রাজনৈতিক কাঠামো থেকে বের হয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য এখন প্রয়োজন চলমান রাজনৈতিক চর্চাসমূহের মৌলিক সংস্কার। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে জাতীয় ঐক্য গঠন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফ্যাসিস্টবিরোধী সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক অংশীজনের মতামতকে গুরুত্ব দেয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতের অমীমাংসিত ঘটনা এবং রাজনৈতিক তর্কসমূহ সর্বাঙ্গের আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের আগেই তাদের নতুন রূপে আবির্ভাব ঘটলে স্বভাবতই তা নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে ক্যাম্পাসে চলমান রাজনৈতিক ধোঁয়াশা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ নিরসনে স্বচ্ছ ও সহনশীল রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা প্রয়োজন।
ছাত্রলীগকে ফ্যাসিস্ট সংগঠন আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্নস্থানে আমরা ফ্যাসিস্ট সংগঠন ছাত্রলীগকে নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে গুপ্ত রাজনীতির অন্ধকার মাধ্যমকে বেছে নিতে দেখছি। আমরা বিশ্বাস করি নতুন ফ্যাসিস্টবিহীন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গুপ্ত রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রকাশ্য পরিচয় ও সুস্থ চর্চার মতাদর্শিক লড়াইয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক মাঠেই সংগঠনগুলোর মূল্যায়ন হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মুক্তচর্চার বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
সৈকত ইসলাম/জেডএইচ/জিকেএস