শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি প্রত্যাখ্যান, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।

এরই প্রেক্ষিতে সাত কলেজের সংকট নিরুপণে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই ‘সংস্কার’ কমিটির পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম.নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা বলেন, রোববার (২৭ অক্টোবর) নিজ নিজ ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি পালিত হবে। সোমবার কলেজে কলেজে সবগুলো দাবির পক্ষে গণসংযোগ কর্মসূচি পালিত হবে। এরপর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।

এরপর গত ২২ অক্টোবর সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হচ্ছে—

১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।

২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবেন।

৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোনো সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।

এনএস/এসআইটি/এএসএম