চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১১
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্ট দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অধিকাংশই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় গ্রেফতারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।
তারা হলেন, হাটহাজারী উপজেলার উত্তর ফতেয়াবাদ এলাকার মৃত ইদ্রিস সওদাগরের ছেলে মো. ইলিয়াছ ওরফে ফারুক (৪০), উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগর মৌলভীপাড়া এলাকার মহিবুল হকের ছেলে মো. সুমন (২৯), ফতেপুর ইউপির ইসলামিয়া হাটের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. ইসতিয়াক আহমেদ (২২), ফতেপুর ইউপির মো. আমির হামজার ছেলে মো. রাশেদ (৩০) ও ফতেপুর ইউপির পূর্ব ভবানীপুর এলাকার মৃত ছালেহ আহমদের ছেলে মো. আবু তাহের (৫৫), বায়েজিদ বোস্তামি থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো: ফরহাদুল আলম, হাটহাজারী পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ, মূলহোতা হানিফের বোনের জামাই মো. জহিরুল আলম, চবি ছাত্রলীগের কর্মী মো. সুমন, যুবলীগ কর্মী মনির হোসাইন, ছাত্রলীগ কর্মী ইমন কুমার নাথ।
২১ অক্টোবর ভোর ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকার আপ্যায়ন নামে একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালায় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারীরা। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় গিয়ে হানিফের একটি দোকান ভাঙচুর করেন। এতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে বলে গুজব রটিয়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা ফিরে আসার সময় যুবলীগ হামলা করলে একজন ছাত্র আহত হন। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ৩০ জন এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেফতার প্রত্যেকে হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। ঘটনার মূলহোতা হানিফ ও তার ভাই ইকবালকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো
আহমেদ জুনাইদ/আরএইচ/এমএস