রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন সরাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসের গাছগুলো থেকে পেরেক, সাইনবোর্ড ও ব্যানার তুলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে আহ্বান করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এগিয়ে আসেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের আই ট্রিপল-ই আরউএসবি, স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, রাবি সায়েন্স ক্লাব, রাবি গ্রিন ভয়েস, রোভার স্কাউট, ইংলিশ স্পিকিং ক্লাব, এসিসিই গ্রুপসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়।

রাবি গ্রিন ভয়েসের সভাপতি আশিকুর রহমান অন্তর বলেন, আমরা এর আগেও গাছ থেকে এগুলো অপসারণের চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রশাসনের তেমন সাহায্য পাইনি। আমরা একাধিকবার ভিসি এবং প্রক্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন তারা বলেছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানার আছে এগুলো তোলা সম্ভব হবে না। বর্তমানে দেশ যেহেতু সংস্কারের পথে সেই সংস্কার ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছেন। ছাত্র উপদেষ্টার ডাকে ক্যাম্পাসের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মিলে এ কাজগুলো করছি। আমরা চেষ্টা করছি ক্যাম্পাসের সব গাছ থেকে এগুলো অপসারণ করার।

গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন সরাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্পিকিং ক্লাবের সদস্য আতিক বলেন, ছাত্র উপদেষ্টার ডাকে আমরা এখানে এসেছি। বিভিন্ন ব্যানার ও সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে এরা গাছের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে। আমরা আশা করছি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একসঙ্গে কাজ করে ক্যাম্পাসের গাছগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারব এবং ক্যাম্পাস আরও সুন্দর করে তুলবো।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব স্যারের পরামর্শে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীরা অনেকদিন ধরে দাবি করে আসছিল ক্যাম্পাসের গাছগুলোতে বিভিন্ন রকম ব্যানার, সাইনবোর্ড, পোস্টার পেরেক দিয়ে লাগানো আছে। যুগ যুগ ধরে এটা হয়ে আসছে। সেগুলো অপসরণের জন্য তারা বলেছিল। আমরা যা ধারণা করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি গুনে আমরা পেরেক দেখতে পেয়েছি। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো গ্রুপে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে। একটি গাছ থেকে আমরা শতাধিক পেরেক ও উদ্ধার করেছি।

তিনি আরও বলেন, গাছের ওপর এমন অমানবিক আচরণ আমরা আর দেখতে চাই না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন কাজ না করে সেজন্য আমরা সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করব।

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।