জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবিতে মশাল মিছিল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৫:৫৪ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করেন তারা। পরে সেটি শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক ঘুরে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সীমান্তে হত্যা কেন, জবাব চাই দিতে হবে’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দেবে জনগণ’; ‘সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, রুখে দেবে জনগণ’; ‘নদীর পানি ট্রানজিট গ্যাস, জবাব দেবে বাংলাদেশ’; ‘ভারতীয় প্রকল্প, চলবে না- চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তে ভারত যত মানুষ হত্যা করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধ ছাড়া আর কোথাও এত মানুষ হত্যার শিকার হয়নি। আমরা স্বাধীনতার পর থেকেই এর প্রতিবাদ করে আসছি। আমরা সরকারকে বলতে চাই, ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধে উদ্যোগ না নিলে আমরা ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করবো।

আরও পড়ুন

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার দেখায়। কিন্তু পরক্ষণেই আমরা দেখি দুজনকে সীমান্তে হত্যা করেছে যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এর দ্বারা বোঝা যায় ভারত শুধু রাজনৈতিক স্বার্থে সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা বলে। তারা শুধু দিল্লির স্বার্থেই এ দেশের সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে।

সমাপনী বক্তব্যে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময় থেকে ভারতকে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে আসছি। কিন্তু তারা এর বিনিময়ে সীমান্তে লাশ, বন্যা ও খরা উপহার দিয়েছে। ভারত সরকারকে বলতে চাই, আপনারা আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করছেন। সীমান্তে যদি আর একবার গুলি চলে আমরা বসে থাকবো না। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিন। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালাবেন না।

সৈকত ইসলাম/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।