অনলাইনে অভিযোগ নিচ্ছে বাকৃবির গণতদন্ত কমিশন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বাকৃবি
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

গত সাড়ে পনেরো বছরে ঘটে যাওয়া নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র‌্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজির বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অভিযোগ বক্সের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

জানা যায়, নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ওই বক্সে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারবেন। তবে আগামীকাল (১০ অক্টোবর) থেকে অনলাইনেও অভিযোগপত্র জমা করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে এ অভিযোগ কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতা কামনা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিশন।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র‌্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্ট রুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজিসহ সকল অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের আভিযোগ দায়ের করার আহ্বান জানিয়েছে তদন্ত কমিশন। গত সাড়ে পনেরো বছর সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইন ফরম পূরণ, অভিযোগ পত্রের ফরম ডাউনলোড করে হাতে পূরণ বা সরাসরি ফরমটি হাতে লিখে প্রশাসন ভবন, ছাত্রবিষয়ক বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে স্থাপিত নির্দিষ্ট অভিযোগ বাক্সের জমা দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় এবং সার্বিক গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন তদন্ত কমিশনের সদস্যবৃন্দ। পাশাপাশি, অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশের উদ্দেশ্যে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে তদন্ত কমিশনের নিকট অভিযোগ দায়েরের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিস্তারিতভাবে তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার জানান, অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ হলে যথোপযুক্ত শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হবে। তবে অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় চলমান শিক্ষার্থী অন্যায়কারী হলে ছাত্রত্ব বাতিল, সাময়িক বহিষ্কার বা বহিষ্কারও করা হতে পারে। যদি অপরাধী চাকরিতেও চলে যায় তার সার্টিফিকেট বাতিলসহ ফৌজদারি মামলার জন্যও প্রশাসনকে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিশন। আমাদের সঙ্গে আইনজীবী প্যানেলও থাকবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিষয়টি ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত হলে সেভাবে আগানো হবে। এছাড়াও পাস করে বেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে না এসেও অনলাইনে তাদের অভিযোগ কিংবা প্রমাণ দিতে পারবে। অন্যায়কারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হলে তার সার্টিফিকেট বাতিল বা তার কর্মক্ষেত্রে নোটিশ পাঠিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান, সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের সদস্যবৃন্দরা।

আসিফ ইকবাল/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।