বুয়েটে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের নামে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় স্মৃতিফলক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. বদরুজ্জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, প্রথমেই আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যে আপনারা আবরার ফাহাদকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো সন্তান আসে যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে। আবরারের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষাই নেব। ভবিষ্যতে আর যেন কারও আবরারের মতো জীবন দিতে না হয়। এই স্মৃতিফলক তৈরি করতে যা কিছু প্রয়োজন শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একসঙ্গে কাজ করে যাবো।

দীর্ঘদিন ধরেই আবরার ফাহাদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মৃতিফলকের নকশা নির্বাচন করে হল প্রাঙ্গণেই এই স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোররাতে বুয়েটের শের-এ-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুম থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। আজ ৭ অক্টোবর আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পঞ্চম বর্ষ পূর্ণ হলো।

এ সময়ে বুয়েটের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তর-পরিদপ্তরের পরিচালক, উপদেষ্টামণ্ডলী, হল প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট ও শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ হলের সব ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।