মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৪
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে ইনকিলাব মঞ্চ

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অনতিবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধন থেকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে আইন উপদেষ্টা নিজে উদ্যোগ নিয়ে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির ব্যবস্থা না করলে তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, আজ সারাদেশের মানুষের মধ্যে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে, সেই ঘৃণার জন্ম দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান। আমার দেশ পত্রিকায় একবার আমরা আদালতের বিষয় নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিলাম। সেজন্য আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেসময় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামসহ সিনিয়র আইনজীবীরা তাকে (মাহমুদুর রহমানকে) ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, আমরা কোনো অসত্য রিপোর্ট করিনি। সুতরাং ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনিই সবার প্রথমে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদী বলতে সাহস করেছিলেন, আর আজ তাকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী বলেন, মাহমুদুর রহমান আদালতে ন্যায়বিচারের পক্ষে, সত্যের পক্ষে। আইন মান্যকারী ব্যক্তি হিসেবে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি, অনেকেই কারাগারে না গিয়েও জামিন পেয়ে বাড়িতে বসে জীবন উপভোগ করছেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমানের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটছে। এর আইনগত ব্যাখ্যা যাই থাকুক না কেন। শেখ হাসিনা সরকারের যে আইন, স্বৈরাচারী সরকারের যে রায়- গণঅভ্যুত্থানের পর এগুলো আর চলতে পারে না।

কর্মসূচি ঘোষণা করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আমরা আলটিমেটাম দিচ্ছি, যেসব সন্ত্রাসী কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমানের ওপরে হামলা করেছিল শিগগির তাদের গ্রেফতার করতে হবে। যে পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট লিখে পদোন্নতি পেয়েছিলেন তাকেও গ্রেফতার করতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আইন উপদেষ্টা নিজে উদ্যোগ নিয়ে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে যত অন্যায়, মিথ্যা, প্রহসনমূলক মামলা করা হয়েছে, সব মামলায় যেহেতু সরকার বাদী, সুতরাং অনতিবিলম্বে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকার মাহমুদুর রহমানের মামলা নিয়ে কী করবে তা যদি না জানায়, তাহলে আমরা আর রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়াবো না। আমরা আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করবো। প্রয়োজনে প্রতিটা মানুষ রক্তাক্ত হবো, তবু মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত না করে আমরা ঘরে ফিরবো না।

এমএইচএ/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।