পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে ইসলামি বিশেষজ্ঞ না থাকায় উদ্বেগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় কমিটিতে কোনো ইসলামি বিশেষজ্ঞ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সেমিনার কক্ষে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক মতবিনিময় সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

এ সময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে দুইজন, আরবি সাহিত্য বিভাগ থেকে দুইজনসহ চারজন ইসলামি বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি পুনর্গঠন করার দাবি জানান তারা। অন্যথায় যথাযথভাবে পরিমার্জন ও ইসলামি মূল্যবোধ বিরোধী উপাদান পরিমার্জন সম্ভব হবে না মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ছানাউল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত কমিটিতে কোনো ইসলামি বিশেষজ্ঞ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূলধারার সর্বস্তরে (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়) ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জোর দাবি জানানো হয়।

বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ বলেন, এনসিটিবি গঠিত কমিটিতে কোনো ইসলামি বিশেষজ্ঞ রাখা হয়নি। বিষয়টি ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য সত্যিই উদ্বেগজনক।

বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের ছাত্র মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের আমলে পাঠ্যপুস্তকে অনেক অনৈসলামিক উপায়, উপাদান সংযুক্ত করা হয়েছিল এবং তা নিয়ে দেশের সর্ব মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ইসলামি মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতি রেখে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য ইসলামি বিশেষজ্ঞের কোনো বিকল্প নেই।

আরেক শিক্ষার্থী মো. হাসান তারেক খান বলেন, এনসিটিবি গঠিত কমিটিতে বিজ্ঞ ইসলামিক ব্যক্তিত্বের অনুপস্থিতি কমিটির কার্যক্রমকে বিতর্কিত করবে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমন্বয় কমিটি দেওয়া হয়। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে এবং সদস্যসচিব করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের প্রফেসর ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সামিনা লুৎফা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।

এমএইচএ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।