গণতন্ত্র দিবসের আলোচনায় বক্তারা
সংস্কারে সব পদক্ষেপ কার্যকরী না হলে দায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিতে হবে
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অভ্যুত্থানের ৪০ দিনে মানুষ কি ভাবছে? শীর্ষক উন্মুক্ত আলোচনা সভা হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তারা রাষ্ট্র, সংবিধান ও নানা বিষয়ের সংস্কার নিয়ে তাদের উন্মুক্ত মতামত তুলে ধরেন। তারা বলেন, সরকার সংস্কারের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলো সবগুলো কার্যকরী নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কার্যকরী না হলে এর দায়ভার সরকারের একার নয়, বরং সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদেরও নিতে হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) সভাটি আয়োজন করে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে আলোচনা সভাটি হয়। এ বছর দিবসটির মুল প্রতিপাদ্য হলো এমপাওয়ারিং দ্য নেক্সট জেনারেশান।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিআইজিডির নির্বাহি পরিচালক ইমরান মতিন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মির্জা এম. হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন নাগরিক কমিটির সদস্য রওনক জাহান, মামুন আব্দুল্লাহি, আসাদুজ্জামান, সামান্তা শারমিনসহ আরও অনেকে। আয়োজনের শুরুতে ৫ আগস্ট পরবর্তী মানুষের মনোভাব নিয়ে বিআইজিডির করা পালস সার্ভের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
নাগরিক কমিটির সদস্য মামুন আবদুল্লাহি বলেন, নতুন যে অনেক সংস্কার কমিটি করা হচ্ছে আমরা খেয়াল করছি সেগুলোতে ছাত্র সমাজের অংশগ্রহণ নেই। অনেক প্রবীণ লোকদের দিয়ে কমিটিগুলো করা হচ্ছে। যার ফলে আমরা যেসব দাবি করছি অর্থাৎ, আমরা এখনো বলছি আমাদের সংবিধানের সংস্কার লাগবে, গণপরিষদ লাগবে কিংবা নতুন সংবিধান লাগবে। সেসব দাবির কিন্তু কোনো প্রতিফলন ঘটছে না। এরই মধ্যেই সংবিধান সংস্কার কমিটির একজন কিন্তু বলেছেন, সংবিধান সংস্কারের তেমন একটা প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। তাই দায়ভারের ব্যপারটা এটা নির্ভর করে অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রদের সঙ্গে কতটা সংযুক্ত হতে পারছে সেটার ওপর।
এমএইচএ/এমআইএইচএস/জিকেএস