বন্যার্তদের মাঝে ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের ত্রাণ বিতরণ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী সামগ্রী বিতরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ। এ নিয়ে দুই দফায় দেড় হাজারেরও বেশি পরিবারের পাশে দাঁড়ালো বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) লক্ষীপুর সদর উপজেলার ৭ নম্বর বশিকপুর এবং ৫ নম্বর পার্বতীনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এই ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পাঁচদিনের সমপরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। এর আগে গত ২৯ ও ৩০ আগস্ট মৌলভীবাজারের দুর্গত এলাকায় প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ বিতরণ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেছে। তাছাড়া এতে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।

ত্রাণ কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ ঈসা ইবনে বেলাল বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সবসময়ই দাঁড়ানোর চেষ্টা করে এসেছে। লোকপ্রশাসন বিভাগের সব শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সার্বিক প্রচেষ্টায় দেড় হাজার পরিবারের পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। প্রত্যাশা করি শিক্ষার্থীরাই দেশের যে কোনো প্রয়োজনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে এবং দুর্যোগময় মুহূর্তে দেশ ও মানুষের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ত্রাণ কার্যক্রমের সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দীন আহমেদ তারেক।

তিনি বলেন, দেশের যে কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। আমিসহ বিভাগের শিক্ষকরা তাদের দিকনির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা করেন। যার ফলে মৌলভীবাজারে এক হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুরেও প্রায় পাঁচশ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এমএইচএ/এসআইটি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।