শাবিপ্রবি

এখনো সচল হয়নি শিক্ষা কার্যক্রম, উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শাবিপ্রবি
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল হয়নি। দীর্ঘদিন পড়াশোনা থেকে দূরে থাকায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষকদের আন্দোলনে লম্বা একটা সময় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। শেখ হাসিনা সরকার পতনের মধ্য দিয়ে এ আন্দোলনের সমাপ্তি হলেও এখন পর্যন্ত শাবিপ্রবিতে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়নি।

ইউজিসির নির্দেশনায় ১৭ জুলাই জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে শাবিপ্রবির সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এমনকি ওইদিন বিকেল ৩টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাখ্যানসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন শিক্ষকরা। এসময়ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। তারও আগে, কয়েক দফা অর্ধদিবস ও পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এতেও শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মমিন উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে আমাদের এক বছরের সেশনজট ছিল। এখন আবার আন্দোলন পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সেশনজটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সামিরা ফারজানা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় আমরা সবাই সেশনজট থেকে শুরু করে বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। দেখা গেছে অনেকেরই শুধু একটা বা দুটো পরীক্ষা বাকি ছিল, হয়তো এই পরীক্ষাটা দিয়েই সে চাকরি বা অন্য কোথাও আবেদন করতো, সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এর মাঝে কবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে তা নিয়ে সবাই একপ্রকার ধোঁয়াশায়।

১০ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পরে এক এক করে ৮৩ জন প্রশাসনিক ব্যক্তি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই কে হবে শাবিপ্রবি উপাচার্য তা নিয়ে চলছে আলোচনা। অনেকেই ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে যোগ্য দেখে উপাচার্য নিয়োগের দাবি তুলছেন। কেউ কেউ ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে কাউকে উপাচার্য নিয়োগের কথা বলছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে শাবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এদিকে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শাবিপ্রবিতে ডিনদের মিটিংয়ে সাময়িকভাবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের জন্য ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামন ফারুককে মনোনীত করা হয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রম চালু হওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সপ্তাহেই আমরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করবো। আমাদের কাছে যে নির্দেশনা আছে সে অনুযায়ী পরীক্ষা অল্প কিছুদিন পরেই নেবো।

নাঈম আহমদ শুভ/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।