ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ২৫ আগস্ট ২০২৪

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজ গেটের সামনে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুরে কলেজ কাউন্সিলের জরুরি সভায় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধসহ চারটি সিদ্ধান্ত হয়।

জরুরি সভার সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১. মমেক ক্যাম্পাস, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেলে সকল ধরনের ছাত্র রাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্রসংসদ, ছাত্রইউনিয়নসহ অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দল), শিক্ষক রাজনীতি (স্বাচিপ, বিএমএ, ড্যাব ও অন্যান্য) এবং কর্মচারীদের যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের রাজনীতি সমূলে নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাস বা হোস্টেলে কেউ রাজনীতিতে জড়িত প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত এবং ২৪ আগস্ট শিক্ষক কাউন্সিলের জরুরি সভায় উপস্থিত থাকা কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে একাডেমিক বিষয়ে হেনস্থা করলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩. কলেজ এবং হোস্টেলে র্যাগিং ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সরাসরি জড়িত শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে অবস্থান, একাডেমিক ক্লাস ও ক্যাম্পাসে আগমনের নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ আবাসনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৪. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরাসরি বিরোধিতাকারী, হুমকি প্রদানকারী এবং শান্তি মিছিলের আয়োজক শিক্ষকদের পদত্যাগ/বদলি/লিখিত ক্ষমা প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্র রাজনীতির কারণে তারা দীর্ঘদিন অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। শিক্ষকদেরও তটস্থ করে রাখতো ছাত্রলীগ। কেউ তাদের অত্যাচারে প্রতিবাদ করতে পারতো না। কলেজে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা খুশি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরেননি। তারা ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শনিবার ক্লাস বর্জন করে কলেজের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা করে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিসহ চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ৬০-৭০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের। তিনি চুক্তিভিক্তিক অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।