নোবিপ্রবি
ভিসি প্রোভিসি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে সব প্রশাসনিক ভবন ও হলে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটক, উপাচার্যের বাসভবনের ফটক এবং একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচির কারণে বন্ধ রয়েছে অনলাইন ক্লাসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক কার্যক্রম।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকি ও রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, শিক্ষকদের ডরমিটরি ও পাঁচটি আবাসিক হল কর্মসূচির আওতামুক্ত রয়েছে।
সরেজমিনে ক্যাম্পাসে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। ফটকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ করে কিছু পোস্টার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটিতে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগের দাবি তুলে ধরা হয়। প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনে গিয়েও দেখা যায় ফটকে তালা লাগানো।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ দপ্তরে কাজ করতে এলে শিক্ষার্থীরা তাদের চলে যেতে অনুরোধ করেন। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরে গেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিবুল হোসেন হাসিব বলেন, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। কোষাধ্যক্ষ এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার এখনো পদত্যাগ করেননি। তারা ক্যাম্পাসেও আসছেন না। রেজিস্ট্রার জসিমকে ওএসডি করার নাটক সাজানো হচ্ছে।
হাসিবুল আরও বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ না করায় তিনজনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ তাদের কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন অনেক শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিকে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থন করি। তাদের দলবাজির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংকট তৈরি হয়েছে। তারা পদত্যাগ না করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে রেখেছেন।’
জানতে চাইলে উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল-আলমকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাকে ওএসডি করে কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ তামজিদ হোছাইন চৌধুরীকে রেজিস্ট্রারের (চলতি দায়িত্ব) দেওয়া হয়েছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস