ভেঙে ফেলা হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ম্যুরাল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালসহ ক্যাম্পাসে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলের দুইটি ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে বুলডোজার দিয়ে এসব ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশ, নাম ফলকসহ ম্যুরালের বিভিন্ন অংশ হাতুড়ি ও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার পর হাতুড়ি দিয়ে ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
ফটক সংলগ্ন ম্যুরাল ভাঙার পর বঙ্গবন্ধু হলের সামনে অবস্থতি ‘শাশ্বত মুজিব’ ও ‘মুক্তির আহ্বান’ ম্যুরালও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া শেখ হাসিনা হলের অভ্যন্তরে থাকা শেখ হাসিনার ম্যুরাল ও শেখ রাসেল হলের সামনে থাকা শেখ রাসেলের ম্যুরালও ভেঙে ফেলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান ফটকে ম্যুরাল ভাঙার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীকে চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশে কোনো খুনি পরিবারের ম্যুরাল, ছবি কোথাও কোনো কিছু থাকবে না। যাদের হাতে হাজার হাজার নাগরিক, ছাত্র খুন হয়েছে তাদের নাম নিশানা বাংলাদেশের মাটিতে থাকবে না। তারই অংশ হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আমাদের মতো করে ম্যুরালগুলো ভেঙেছি। ছাত্রদল ও মুক্তিকামী ছাত্র সমাজ এটি করেছে। প্রশাসন পরবর্তীতে অন্যান্য যা কিছু আছে তাদের মতো করে করবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০১৮ সালে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট উচ্চতা ও ৩৮ ফুট প্রস্থের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালটি নির্মাণ করে। এটি ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুজিব ম্যুরাল। সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ম্যুরালের উদ্বোধন করেন। এছাড়া ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু হলের সামনের পথের দুই পাশে ৯ ফুট উচ্চতা ও ১৮ ফুট প্রসস্থের ‘মুক্তির আহ্বান’ এবং ১০ ফুট উচ্চতা ও ৭ ফুট প্রসস্থের ‘শাশ্বত মুজিব’ ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়।
মুনজুরুল ইসলাম/এফএ/এএসএম