এ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়েছে নিহত সাঈদের পরিবার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৪
কোটা আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবার এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছে।

সবশেষ রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি এবং তার সঙ্গে কথা বলার জন্য আলাদা করে দুই মিনিট সময় পাই। পরে তিনি আমাদের ১০ লাখ টাকার একটা সঞ্চয়পত্র দেন। এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাড়ে সাত লাখ এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসা অর্থ মিলে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো সাহায্য পেয়েছি।’

আরও পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, ‘সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি। ছয় বছর পর দেশে এসেছি। তারপর যখন এসেছি সারাদেশ ঘুরেছি। কারণ আমার বাবা বলতো, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। আমি সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি।’

গত ১৬ জুলাই দুপুর ২টার দিকে রংপুরের খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে আসেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। এসময় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।

নিহত আবু সাইদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।