হল ছাড়ছেন রাবি শিক্ষার্থীরা, ফাঁকা ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৪
হল ছাড়ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে দেখা যায়।
এর আগে, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সেই সময়সীমা বর্ধিত করে আজ সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে গত দুই দিনব্যাপী সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও রংপুরে ছয়জন নিহত হন। এ অবস্থায় হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা ব্যাগপত্র নিয়ে হল ত্যাগ করছেন। অনেক শিক্ষার্থী বাসায় চলে যাচ্ছেন, অনেকেই আবার ক্যাম্পাসের বাহিরের মেসগুলোতে অবস্থান নিচ্ছেন। শিক্ষার্থী ছাড়া পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা অবস্থায় পড়ে আছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সামনে চাকরির পরীক্ষা রয়েছে, তবুও বাধ্য হয়ে হল ছাড়তে হচ্ছে। বাড়িতে গেলে পড়াশোনা হয় না। আবার কবে ক্যাম্পাস খুলবে তারও কোনো ঠিক নেই, ফলে বাড়িতে চলে যাচ্ছি।
মাদার বখশ হলের শিক্ষার্থী আজম বলেন, হল ত্যাগ করাটা আমাদের জন্য খুব কষ্টকর। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল কিন্তু হল ত্যাগ করতে হবে কেন? সকাল থেকেই হলের প্রহরীরা হল ত্যাগ করতে বারবার চাপ দিচ্ছেন। হঠাৎ করে কোথায় যাবো? আজ কোনো যানবাহনও চলবে না, তাই ক্যাম্পাসের বাহিরে কয়েকদিন থাকবো। পরে পরিস্থিতি শান্ত না হলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সরাতে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে অভিযান চালান। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থীরা ছাত্রভঙ্গ হয়ে সবাই সবার মতো হল বা মেসে চলে যান। পরে সারারাত পুলিশের কয়েকটি টিম ক্যাম্পাসে টহল দিতে দেখা যায়।
মনির হোসেন মাহিন/এফএ/জেআইএম