রাতে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বাসে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০
শহর থেকে ক্যাম্পাস ফেরত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। হামলায় নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাতজন নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থী বহনকারী চুয়েটের সাঙ্গু নামের বাসটি চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট টার্মিনালের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল। বাস ছাড়ার মুহূর্তে ছাত্রলীগের ২০/২৫ নেতাকর্মী বাসটিকে আটকায়। এ সময় তাদের পাঁচজন বাসে ঢুকে শিক্ষার্থীকে মারধর করতে থাকেন। নারী শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হন। তিনজন শিক্ষার্থীর হাতে থাকা মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
চুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আহত শিক্ষার্থী কনিকা আক্তার বলেন, ‘আমরা বাসে ওঠার পর ২০-২৫ জন ছেলে বাস আটকায়। এর মধ্যে ১০ জনের মতো বাসে ঢুকে প্রথমেই মেয়েদের পেটানো শুরু করে। পরে তারা সবাইকেই আঘাত করে। তিনজনের মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
চুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বলেন, ‘হামলাকারীদের সবার হাতে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র ছিলো। তারা বাসের ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের গায়ে আঘাত করতে থাকে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। হয়তো শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে গিয়েছিলো মনে করে দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনা তারা ঘটিয়েছে।’
এদিকে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বাস আটকানোর ঘটনার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন নগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কয়েকজন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নুরুন নবী বলেন, ‘চুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর কারা হামলা চালিয়েছে তা জানা নেই।’
রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চুয়েটের স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা চুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগসহ সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবী জানান।
এএজেড/এমআরএম/জেআইএম