বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি

আজও শাহবাগ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ০৭ জুলাই ২০২৪
কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ শিক্ষার্থীদের/ছবি জাগো নিউজ

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল ও কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে শাহবাগ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। প্রতিটি হল ও বিভাগ থেকে মিছিল সমেত আন্দোলনকারীরা গ্রন্থাগারের সামনে আসতে থাকেন।

এরপর গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হলপাড়া-মুহসিন হল-ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে শাহবাগে যান শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা সেখানে অবরোধ করেন।

আজও শাহবাগ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা

মিছিল ও অবরোধের সময় শিক্ষার্থীরা ‘অবরোধ-অবরোধ-সারা বাংলা অবরোধ’, ‘ এক দফা এক দাবি-কোটা নট কামব্যক’, ‘বাধা দিয়ে আন্দোলন-বন্ধ করা যাবে না’, ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে-ছাত্র সমাজ জেগেছে’, —ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সরেজমিনে সায়েন্সল্যাব মোড়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে। অবরোধে সায়েন্সল্যাব মোড়সহ আশপাশের এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করা না পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বহাল করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।

এমএইচএ/এসআইটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।