কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শেকৃবি
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখার প্রতিবাদে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, শেরেবাংলা নগর নার্সিং কলেজ ও গণভবন স্কুল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।

আরও পড়ুন:

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দুপুর ১টায় শিক্ষার্থীরা পুনরায় লাইব্রেরির সামনে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা,‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’,‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে,কোটা প্রথার কবর দে’ এরকম বিভিন্ন কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।

কোটার বিষয়ে শিক্ষার্থী আল রাকিব বলেন, আমাদের এই আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে নয় বরং তাদের চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের এই আন্দোলন। তারা যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে একটি সুন্দর দেশ উপহার দিয়েছেন আমরাও একইভাবে সুখী ও সুন্দর দেশ গড়তে চাই। সুন্দর দেশ গড়তে মেধাবীদের প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে যে ৩০ শতাংশ কোটা সিস্টেম চালু করে দিয়েছিলেন সেটি ছিল সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের, তিনি তাদের সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য দেননি। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরে আমি মনে করি এই কোটা ব্যবস্থা অযৌক্তিক।

তাসনিম আহমেদ তানিম/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।