শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবির বেরোবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৪

শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে। একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। শিক্ষকরা আহ্বান না করায় শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না ক্লাসে, হচ্ছে না কোনো পরীক্ষা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে একাডেমিক ভবনগুলো খুললেও কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা আসলেও তারা অলস সময় পার করছেন।

জানা যায়, সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সবধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ারুল হক বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা না হলে চরম সেশনজটে পড়তে পারে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে বাস সেবাও বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা অনেকে টিউশনি করি শহরে। বাস বন্ধ থাকলে আমরা যাবো কিভাবে?

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিজন মোহন চাকি বলেন, গত ১৩ মার্চ জারিকৃত ‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন কার্যকর না হওয়ায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বেরোবিতে সব ক্লাস-পরীক্ষা, সমন্বয় সভা, ভর্তি কার্যক্রম ও প্রভোস্ট অফিস বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ আমাদের তিন দফা দাবি মেনে না নিবে, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করব।

আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।