যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা


প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ এর ১ ও ২ ধারায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যবিপ্রবি সহকারী রেজিস্টার আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে কোতয়ালি থানায় এ দুইটি মামলা দায়ের করেন।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অনুমতি ছাড়া ফেসবুক আইডি খুলে পরিচালনা ও বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং-১১২।

মামলার আসামিরা হলেন, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিক রহমান এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড রিসার্স অ্যানালাইসিস সেন্টার লিমিটেড (ইএনআইআরএসি) জুনিয়র এনভায়রনমেন্টাল প্রফেশনাল আশরাফুল আলম, যবিপ্রবি শিক্ষার্থী পিয়াস বিশ্বাস ও অ্যাডমিন প্যানেল থেকে অজ্ঞাত আসামি।

অন্যদিকে, যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অনুমোদন ছাড়া খোলা ফেসবুক আইডিতে অপপ্রচার ও মানহানিকর মন্তব্য প্রকাশের অপরাধে দায়ের হওয়া ১১৩নং মামলায় ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন, যবিপ্রবির জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের নাসির উদ্দিন বাদল, ফার্মেসি বিভাগের বোরহান উদ্দিন জিহাদ, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিক রহমান এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড রিসার্স অ্যানালাইসিস সেন্টার লিমিটেড (ইএনআইআরএসি) জুনিয়র এনভায়রনমেন্টাল প্রফেশনাল আশরাফুল আলম, যবিপ্রবি শিক্ষার্থী পিয়াস বিশ্বাস, ফেসবুক অ্যাডমিন প্যানেল থেকে অজ্ঞাত, যবিপ্রবি জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী পাভেল মাহমুদ, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজিবুল্লাহ শেখ নাজিম, পদার্থ বিজ্ঞানের মাহাবুবুর রহমান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের সাইফুজ্জামান সুজ্জল, জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের শরীফ আল মুতি, পরিবেশ বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবিএম ফরহাদ, প্রাক্তন ছাত্র মাহফুজুর রহমান, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের মো. তাওয়াবুর, জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের রাসেল উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র রাকিব চৌধুরী, পরিবেশ বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আসাদুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম শুভ, জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের ইসমাইল হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নাজমুল হুদা নাজ, জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের সরকার কৌশিক আহমেদ, কাজী লিমন আহমেদ, নিউট্রেশন অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি বিভাগের ফিরোজ মাহমুদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মোহাম্মদ শিম।

কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম কোতায়ালি থানায় অভিযোগ দেন। রাতে মামলা দুইটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং-১১২ ও ১১৩। মামলা দুইটির তদন্ত চলছে।

মিলন রহমান/এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।