‘দুগ্ধজাত পণ্যই বাজারের ক্ষতিকারক পানীয়ের বিকল্প’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারেপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের দেশে দুধকে সকলের নিকট সহজলভ্য করার জন্য অতিসত্বর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। একমাত্র দুগ্ধজাত পণ্যই পারবে বাজারের ক্ষতিকারক পানীয়ের বিকল্প হতে।

শনিবার (১ জুন) ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ড. আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, সুষম খাবারের কথা যদি বলি তাহলে প্রথমেই আসবে দুধের নাম। মানবস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদানই পাওয়া যায় দুধ থেকে। একারণেই পৃথিবীর অনেক দেশে দুধ পানির চেয়েও সহজলভ্য।

জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর পহেলা জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটি উদযাপনে সকাল ১০ টায় পশুপালন অনুষদ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি বের হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যালিটি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় অডিটোরিয়ামে ‘বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুধ অপরিহার্য’ এই শিরোনামে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

‘দুগ্ধজাত পণ্যই বাজারের ক্ষতিকারক পানীয়ের বিকল্প’

ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. কে এম মাসুম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. এম. এ. সামাদ খান পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. মো. সোহেল রানা সিদ্দিকী।

এ বিষয়ে ড. মো. সোহেল রানা সিদ্দিকী বলেন, শিশুদের মেধার বিকাশ ঘটাতে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের কোনো বিকল্প নেই। এ উদ্দেশ্যেই আমরা এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসার প্রায় ১৬০০ শিশু শিক্ষার্থীকে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পান করিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর ১৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়, যেখানে দুধের চাহিদা ১৫ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। একজন ব্যক্তির দৈনিক দুধের চাহিদা ২৫০ মিলিলিটারে বিপরীতে দেশের মানুষের গড় প্রাপ্যতা ২২১ দশমিক ৮৯ মিলিলিটার। যা প্রতিবেশি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। তাই দুধের ঘাটতি পূরণে প্রতিবছর প্রায় চার হাজার কোটি টাকার গুঁড়া দুধ আমদানি করতে হয়। আবার দেশে দুধের উৎপাদন যতটুকু আছে সেটুকুও গ্রাহক এবং শিল্প পর্যায়ে সঠিকভাবে পৌঁছায় না। তাই দুধের সঠিক সরবরাহের ক্ষেত্রে খামারী পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সকলের কাছে দুধের পুষ্টি পৌছে দেওয়ার লক্ষেই বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের এবারের আয়োজন।

আসিফ ইকবাল/এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।