বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তবে পরীক্ষাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকীর সভাপতিত্বে কর্মবিরতিতে বক্তারা বলেন, এই প্রজ্ঞাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের প্রতি চরম অবমাননা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়সহ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বায়ত্বশাসন প্রদান করে শিক্ষা ও গবেষণাকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। শিক্ষকদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন।
কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কখনই যায় না। আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ প্রতিবাদ নীতি নির্ধারকসহ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং বৈষম্যমূলক এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পৃথক স্বতন্ত্র বেতনকাঠানো প্রণয়নসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, প্রত্যয় স্কিমটি নামে সর্বজনীন হলেও আদৌতে সর্বজনীন নয়। সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সামরিক, আমলা ও বিচার বিভাগকে এ প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে একে সর্বজনীন বলার সুযোগ নেই। স্কিমটি যদি সত্যিই সর্বজনীন হয়ে থাকে, তবে একে অধিকতর সর্বজনীন করার জন্য সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও বিচার বিভাগকেও এর আওতায় আনা হোক। তা না হলে তড়িঘড়ি করে জারি করা এ অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক স্কিম অবিলম্বে বাতিল করা হোক।
এনআইবি/জেআইএম