কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে: আইজিপি
প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির কারণে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এখন প্রায় নির্মূল করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের অনেক অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে এটি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকেও নজর রাখছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ মে) সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। আপনার সন্তান কার সঙ্গে মিশছে এবং নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে কি না সেদিকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে শনিবার (১৮ মে) রাত ৮টায় সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এ সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষানুরাগী ও অর্থনীতিবিদ ড. আহমদ আল কবির, সিলেট সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমেদ।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত ও জান্নাতুল আশার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান। সিলেটে কিশোর গ্যাং, মাদক ও চোরাকারবারির বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করেন বক্তারা।
এ সময় সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ও প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, সিসিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও শাবিপ্রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
নাঈম আহমদ শুভ/এফএ/এমএস