কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ফটক-ডাস্টবিনে উপাচার্যের কুশপুতুল ঝুলিয়ে পদত্যাগ দাবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের কুশপুতুল তৈরি করে পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও গোল চত্বরের পাশে ডাস্টবিনের ওপর এ কুশপুতুল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর ও প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে কুশপুতুল ঝোলানো হয়।
জানা যায়, পাঁচ দিন ধরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন:
শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই উপাচার্য আসার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি একটা আমদানিকৃত পঁচা মাল। একজন উপাচার্য হয়ে তিনি মিথ্যাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আজকে আমরা ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ডাস্টবিনের ওপর তার কুশপুতুল স্থাপন করেছি। আমরা মনে করি তার নির্দিষ্ট জায়গায় তিনি স্থান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। সর্বশেষ ২৮ তারিখ শিক্ষকদের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি উপাচার্য। আজকে তিনি ক্যাম্পাসে না এসেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে আমরা তার কুশপুতুল স্থাপন করেছি।
এ বিষয়ে উপাচার্য আবদুল মঈনকে একাধিকব ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এর আগে ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে উপাচার্যের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও ট্রেজারার ড. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, আবু ওবায়দা রাহিদ ও জাহিদ হাসান, স্বপন চন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান শিকদার, জিল্লুর রহমান এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ। এছাড়া তাদের সঙ্গে ২০-৩০ জন বহিরাগত শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এনআইবি/এএসএম