অন্ধকার পরাভূত করে আলোর পথে হাঁটবো: ঢাবি ভিসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

নববর্ষের দিনে প্রত্যাশা তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য (ভিসি) এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, অন্ধকারকে পরাভূত করে যৌক্তিকভাবে এগিয়ে যাবো, আলোর পথে আমরা হাঁটবো।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা সন ১৪৩১-এর প্রথম দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের এই প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এটি কেবল বাংলাদেশিদের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের সাংস্কৃতিক জগতের এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ রকম একটি অনুষ্ঠানকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, যারা ধর্মকে ব্যবসায়িক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তারা এ উৎসবকে বন্ধ করার জন্য অতীতেও চেষ্টা করেছে, ভবিষ্যতেও হয়তো চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু আমরা দেখেছি মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রতি বছরই নতুন প্রতিপাদ্য উপস্থিত হয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’

এবার মঙ্গলশোভাযাত্রার স্লোগান ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে প্রত্যাশা করি অন্ধকার ঘুঁচে যাবে, সমাজে কূপমণ্ডূকতা থাকবে না। মানুষের মধ্যে যুক্তিহীনতা থাকবে না। আমরা অন্ধকারকে পরাভূত করে যৌক্তিকভাবে এগিয়ে যাবো, আলোর পথে আমরা হাঁটবো। যাতে করে সমাজ থেকে ধর্মান্ধতা, কূপমণ্ডূকতা দূর হয় এবং চিন্তার জগতে যাতে মানুষের মধ্যে একটু উন্মুক্ততা আসে, মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভাবতে পারে।

তরুণ প্রজন্ম সব সময় উদ্দীপ্ত নববর্ষকে উদযাপন করার জন্য বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য।

তিনি বলেন, ধর্মব্যবসায়ীরা আমাদের সংস্কৃতিকে পরাভূত করার চেষ্টা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের পরাভূত করার চেষ্টা করেছিল। এখনো তারা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু সেই ধারা ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেটি যেন মানুষের মনের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকতা পায় এটি হলো পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ সালে আমাদের প্রত্যাশা।’

আরএমএম/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।