দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা, ঢাবিতে প্রতিবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ১২ মার্চ ২০২৪
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা ইফতার পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে হাজার বছরের বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতির ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আহলান সাহলান-মাহে রমজান’, ‘সাওম সালাত ইফতার-মুসলমানদের অধিকার’, ‘ক্যাম্পাসগুলোতে কনসার্ট হলে-ইফতার পার্টিও হতে হবে’, ‘ক্যাম্পাসে কনসার্ট হলে সমস্যা কী ইফতার হলে’, ‘রমজান ইফতার-অধিকার অধিকার’,— ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মানববন্ধনে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মুসলিমদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রোজা রাখা, ইফতার করা। মুসলিমরা রোজা রাখবে এটাই স্বাভাবিক। আজ কোনো একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে মুসলমানদের সংস্কৃতি থেকে এটা মুছে দিতে। তারই অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা এটা মানতে পারি না। আমাদের আস্থার জায়গা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম করে একটা চক্র এই কাজ করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম, তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। তাকে ব্যবহার করে কেউ এটা করার চেষ্টা করছে।’

আরও পড়ুন
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি বন্ধের সিদ্ধান্ত একটি মুসলিমবিদ্বেষী সিদ্ধান্ত। এ দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে কনসার্ট হতে পারলে, গানের আয়োজন হলে ইফতার পার্টিও হবে, শবে বরাতও পালন হবে। দেশের ক্যাম্পাসগুলোয় ৯০ ভাগ মুসলমানের সন্তান পড়াশোনা করে, কারও চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তে, কারও নগ্ন হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা ইফতার পার্টি থেকে বিরত থাকবে না।’

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে বেশিরভাগই মুসলিম শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও এমন নিষেধাজ্ঞা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই খেজুরের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, রাবিতে গরুর মাংস নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কুচক্রী মহল যত ষড়যন্ত্র করবে আমরা আরও বেশি বেশি ইফতার করবো। যেখানেই মুসলিম কমিউনিটি আছে সেখানেই ইফতার হবে। ক্যাম্পাসে ইফতার হবে, রোজা হবে, শিক্ষার্থীরা কোরআন তিলাওয়াত করবে, কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে আমরা এটা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে মিলন চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এনএস/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।